Wellcome to National Portal
বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৭ মে ২০১৭

বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সীতে বোরো হাইব্রিড ধান ট্রায়াল শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত:


প্রকাশন তারিখ : 2017-05-04

 

 

বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী, ঢাকা অঞ্চল, ঢাকা কর্তৃক আয়োজিত বোরো হাইব্রিড ধান ট্রায়াল শীর্ষক এক আলোচনা সভা ২৭ এপ্রিল ২০১৭ খ্রি: তারিখে বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী, গাজীপুরের প্রশিক্ষণ হলে অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত সভায় কৃষিবিদ জনাব মো: ইকবাল, পরিচালক, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন । কৃষিবিদ জনাব মো: খায়রুল বাশার, অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ও কৃষিবিদ জনাব মো: মেহের আলী, অতিরিক্ত পরিচালক (মাঠ প্রশাসন, পরিকল্পনা ও মনিটরিং) বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন । কৃষিবিদ জনাব ড. মো: আব্দুল মুঈদ, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ঢাকা অঞ্চল, ঢাকা এ সভায় সভাপতিত্ব করেন । হাইব্রিড ধান উৎপাদনের সাথে জড়িত সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ এ সভায় উপস্থিত ছিলেন । সভার শুরুতে উপস্থিত সকলে কৃষিবিদ জনাব মো: আব্দুর রহিম, প্রাক্তন পরিচালক (শস্য) এর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ০১ (এক) মিনিট নিরবতা পালন করেন ।

 

            কৃষিবিদ জনাব মো: মাহবুবুর রহমান, আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত), ঢাকা অঞ্চল, ঢাকা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন । তিনি ঢাকা অঞ্চলে স্থাপিত বোরো মৌসুমের হাইব্রিড জাত ট্রায়ালের তথ্য তুলে ধরে আগামী বছরগুলোতে হাইব্রিড উৎপাদনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন ।

 

            জনাব মো: কামরুল হাসান, প্রতিনিধি, লালতীর এ ধরণের একটি আলোচনা সভা আয়োজনের জন্য বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার বক্তব্যে বলেন যে, বোরো মৌসুমে বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে হাইব্রিড ধানের সঠিক জীবনকাল নাও পাওয়া যেতে পারে । এক্ষেত্রে চেকজাতের সাথে তুলনা করতে সমস্যা হতে পারে উল্লেখ করে তিনি মূল্যায়ন দলের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ।

 

            কৃষিবিদ জনাব ড. মো: জামিল হাসান, মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান, হাইব্রিড ডিভিশন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট তার বক্তব্যে দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সাথে হাইব্রিড ধান উৎপাদনের গুরুত্ব তুলে ধরেন । তিনি বলেন যে, প্রতি বছর বাংলাদেশে ২২ লক্ষ জনসংখ্যা যুক্ত হচ্ছে ও এতে ৩ লক্ষ মে.টন বেশি চাল প্রয়োজন । হাইব্রিড চাষে ১৫- ২০% ফলন বেশি পাওয়া যায় । মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়া, সরু চালের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়া, মোটা ও আঠালো হওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো বিবেচনায় এনে হাইব্রিড জাতের উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন । আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ার জন্য স্বল্পজীবনকাল বিশিষ্ট হাইব্রিড জাতের উন্নয়নের উপর তিনি জোর দেওয়ার কথা বলেন । পরবর্তীতে তিনি চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বোরো হাইব্রিড জাতের ট্রায়ালের তথ্যাদি তুলে ধরেন ।

 

            কৃষিবিদ মো: ইকবাল, পরিচালক, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন যে, বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার কৃষিতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছেন । ১৯৯৮ সাল থেকে হাইব্রিডের চাষাবাদ শুরু হয়েছে এবং এ পর্যন্ত ১৬১ টি হাইব্রিড জাত নিবন্ধিত হয়েছে । হাইব্রিড জাতের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য তিনি এর উন্নয়নের আহ্বান জানান । সরু চাল বিশিষ্ট ও অ্যামাইলেজ এর পরিমাণ বেশি এমন হাইব্রিড জাতের বীজ আমদানি, নিবন্ধনের জন্য বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বীজ উৎপাদনের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানকে আরও বেশি যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান । তিনি হাইব্রিড জাতের ট্রায়ালের জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন ও মাটির গুণাগুণ পরীক্ষার উপরও জোর দেন । এতে একদিকে যেমন মাটিবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে অন্যদিকে তেমন মাটিতে খাদ্য উপাদানের পরিমাণ ঠিক থাকলে ইনব্রিড ও হাইব্রিড জাতের ফলন পার্থক্য কমানো যাবে বলে তিনি মনে করেন । এ ধরনের একটি আলোচনা সভা আহ্বানের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অন্যান্য অঞ্চলেও তা আয়োজন ও এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান ।

 

কৃষিবিদ জনাব ড. মো: আব্দুল মুঈদ, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ঢাকা অঞ্চল, ঢাকা সভাপতির বক্তব্যে বলেন যে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এই ধরনের আলোচনা সভা ও প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। মূল্যায়ন যথাযথভাবে সম্পন্ন করার জন্য তিনি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের রোগতত্ত্ববিদ ও কীটতত্ত্ববিদের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বিষয়ে দক্ষ অধ্যাপকদের সমন্বয়ে দল গঠনের উপর জোর দেওয়ার কথা বলেন। একই সাথে তিনি হাইব্রিডের গ্রহণযোগ্যতা ও উৎপাদনক্ষমতার পাশাপাশি এর বালাইসহনশীলতার প্রতি জোর দিয়ে জাত ছাড়করণের পরামর্শ দেন। পরিশেষে আয়োজিত এই আলোচনা সভা সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।